মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ বেশ কিছুদিন ধরে ফেসবুকে দেখা মিলছে “দৈনিক কাগজ” নামের একটি পত্রিকা নিজস্ব অ্যাড চালিয়ে যাচ্ছে। আবার প্রতিনিধি নিয়োগ করার কথাও বলছে।
আগ্রহী হয়ে সিভি পাঠালেই মোবাইলে মেসেজ বা ফিরতি মেলে আপনাকে প্রাথমিক ভাবে মনোনীত করা হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে এবং এক থেকে দুই দিনের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়ে নিয়োগের শেষ তারিখ বলে জানানো হচ্ছে। আর সাথে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে কিছু শর্তাবলী। শর্ত পালনে আগ্রহী হলে আপনার নামে কুরিয়ার সার্ভিসে সংবাদিকতার আইডি কার্ড পাঠানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে, আপনাকে প্রথম মাসে পত্রিকার পরিচিতির জন্য ৫০ কপি করে পত্রিকা নিতে হবে। যার দাম ৪৫০০ (চার হাজার পাঁচশত) টাকা। আর এই টাকা আপনাকে বিকাশ বা নগত নাম্বার থেকে 01779-618881 এই ফোন নাম্বারে অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। যার পরিচয়ে বলা হচ্ছে “দৈনিক কাগজ এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- সাংবাদিক -হারুন অর রশীদ” এবং ব্যবহার করা হচ্ছে STAR GROUP (PVT.) LTD এর নাম। আরো ব্যবহার করা হচ্ছে অফিসের ঠিকানা
Old Office:
67,parydash Road, Bangla Bazar,
bongshal- dhaka
New Office: daily KAGOJ
72 Malibagh, Dhaka, Bangladesh-1219
Email: kagojdaily@gmail.com
WhatsApp- 01779618881
এবং আর বলা হচ্ছে, জেলা প্রতিনিধিদের মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রতিনিধিদের মাসিক বেতন ৫ হাজার টাকা। সেইসঙ্গে নিউজ সংগ্রহের জন্য যাওয়া আসা খরচ সহ অন্যয়ান্য সুযোগ সুবিধা ও রয়েছে।
এখন ধরা যাক এই প্রতারক চক্রটি যদি সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় একজন করে প্রতিনিধি নিয়োগ দেন। আর ৪৫০০ টাকা করে নিতে পারেন। তাহলে টাকা পরিমান টা কত দাঁড়ায়। ধরে নিলাম দেশে ৫০০ উপজেলা। আর ৬৪ জেলা। মানে প্রায় ৬০০। এই ৬০০ জনের কাছ থেকে আদায় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
তাহলে পত্রিকা ছাপার দরকার কি? ফেসবুকে একটা এড দিলেই হল। কাগজের ডিক্লারেশন থাক বা না থাক। কাগজ ছাপা হোক বা না হোক। তাতে কি যায় আসে। আসছে তো কোটি কোটি টাকা।
অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এই প্রতারক চক্রটি প্রত্রিকার মোড়ক উন্মোচন সহ নানা কার্যক্রমের ঘোষণা দেওয়া সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নাম ব্যবহার করে আসছে। আবার কখনো বলছে প্রত্রিকাটি উদ্বোধন করবেন, মাননীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শীলা। কিন্তু কখনোই কনো কার্যক্রমের দেখাও মেলেনি।
জানা যায় এই ধামাকা অফারটি এসেছিল অনেকের কাছে। আবার ইতিমধ্যেই অনেকে পা দিয়েছে এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে। আবার অনেকের অভিযোগ আছে একই জেলা বা উপজেলা থেকে বেকার শিক্ষিত যুবকদের কাছে থেকে একাধিক নিয়োগের নামে হাতাচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। তাহলে এখন বোঝেন একটি উপজেলায় যদি এক বা একাধিক প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া নামে কত টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি?
তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সুশীল সমাজ বলছে এই প্রতারক চক্রটি কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে, এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকেরা বারবার ক্ষতির মুখে পড়বে এবং এটি সমাজের উপর এরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
এই প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্তা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলোমান বলে জানান দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।