বিশেষ প্রতিনিধি : বন্দর থানাধীন নবিগন্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে স্কুলের মেয়েদের উত্ত্যক্ত এবং অপহরণ করার সহযোগিতায় মামলায় গত ১৪ই ডিসেম্বর ২০২২ সালে গেফতার হয় দিমান।
১৬৮(৬)২ যার ধারা সহ অপরাধ লুণ্ঠিত দ্রব্যাদি সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো, ৭/৩০ ২০০০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনীয় ২০০৩ জোরপূর্বক অপরণ ও অপরনের সাহায্য করার অপরাধ। দীর্ঘ দিন জেল খেটে জামিমে মুক্তি পেলেও অপরাধ বোধের কোনো মুক্তি নেই তার কাছে।সে নতুন কৌশল অবলম্বন করে সেই স্কুলেরি মেয়েদের নাম্বার যোগাড় করে, এবং ইমু, হোয়ার্সআপে লাগাতার বিরক্ত করতে থাকে। কল কেটে দিলেও সে একের পর এক মেসেজ এবং কলে ধমকি দেয়। এবেপারে ভয়ে মুখ খুলে না অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেয়ে বলে, সে আগে আমাদের স্কুলের সামনে এসে দাড়াতো এবং মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো, তার কথা না শুনলে সে নুসরাতকে যে ভাবে মেরেছে সেই রকম করবে বলে জানায়।সেই ভয়েই অনেক মেয়ে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছে।একজনের পরিবার মামলাও করেছে, কিন্ত সে আবার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এখন আর স্কুলের সামনে আসে না, তবে কিভাবে যেনো মেয়েদের মোবাইল নাম্বার কালেকশন করে এবং নানা ভাবে সবাই বিরক্ত করে।এভাবে চলতে থাকতে আমরা কেও পড়াশুনা করতে পারবো না।
গোপন সংবাদে জানা যায়, দিমান নারায়ণগঞ্জ সদরের কিশোর গ্যাং এর সদস্য ও মাদকাসক্ত। তাই তাদের বেপারে কেও কথা বলতে চায় না। যত দিন এগুচ্ছে কিশোরগ্যাং এর অপরাধে সংখ্যা ততই বেড়ে চলছে।শহরের বিভিন্ন জায়গায় তারা মানুষে হয়রানি করে মারছে। ভয়ে কেও কিছু না বলাতে তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এসব ভুক্তভোগি স্কুলের ছাত্রীরা।