নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়।
আল-মুকিদ (মাহি) মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সন্মানিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও আইনী সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রানীশংকৈল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রানীশংকৈল উপজেলা শাখা ও তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগ, ঢাকা’র একজন একনিষ্ঠ প্রভাবশালী ও কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত।
ঋতুচক্র, বৃক্ষ, প্রজাপতি কিম্বা প্রেমিক ভ্রমর নিজেদের ভাষায় গায় অমর সঙ্গীত। সব নৃগোষ্ঠীর থাকে মমতায় মাখা মাতৃভাষা, কিন্তু রাষ্ট্রেরও কি ভাষা থাকে? হ্যাঁ, প্রথম আমরা সেই ভাষার শিখলাম তা হলো বাংলা ভাষা।রক্তাক্ত সিঁড়ি হলো ‘বায়ান্নোর একুশে ফেব্রুয়ারি। আমরা নিজেদেরকে চিনলাম, আমরা নিজেদেরকে বুঝলাম, আমরা নিজেদেরকে জানলাম, চিনে নিলাম আমাদের নিজস্ব পথ। রক্তের বর্ণমালায় সুশোভিত সে পথ ধরেই আমরা নিজেদের শেকড়ে পৌঁছালাম, আমাদের নিজের রাষ্ট্র হলো- বাংলাদেশ।
মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করা প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার। শিক্ষার মাধ্যম যে মাতৃভাষাই হওয়া উচিত এ ব্যাপারে আজ আর দ্বিমত নেই। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার ছাড়াও অনেক নাম না জানা ছাত্ররা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা বাঙালি জাতি। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা।
বাংলাভাষার মাধ্যমেই আমরা প্রথমে ‘মা’ নামক ছোট্ট শব্দটি শিখেছি। এ ভাষাতেই আমরা কথা বলি ও লিখন লিখি। এ ভাষাতেই অতি আপনজনের কাছে পত্র লিখে মনের ভাব প্রকাশ করি। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে আমরা যে কল্পনার ছবি আঁকি তা এই বাংলা ভাষাতেই। তাই এই ভাষায় শিক্ষা গ্রহণের মজাই আলাদা। সুতরাং অপর সব ভাষা অপেক্ষা মাতৃভাষা সকলের নিকট সুমধুর।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা সৈনিক এবং ভাষা শহীদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।