
মোঃ রাজু মিয়া, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
➤জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মসজিদটি ঠিক কত বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে মোগল স্থাপত্যের নিদর্শনগুলো থাকায় এটিকে মোঘল আমলের মসজিদ বলা হয়। নির্মাণশৈলীর কারণে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন মসজিদের মূল অংশের সামনে আছে পাঁচটি গম্বুজ। চারদিকে চারটি এবং মাঝখানে একটি। গম্বুজের চারদিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে চার মিনার। গম্বুজগুলো ইট, চুন ও সুরকি দিয়ে নির্মিত। এগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করতে ওপরে বসানো হয়েছে বাহারি রঙের চিনা মাটির টুকরো। কালের পরিক্রমায় গম্বুজগুলোতে দেখা দিয়েছে ফাটল। চার মিনারের একটি ভেঙে পড়েছে অনেক আগেই। এ অবস্থায় ভয় ও আতঙ্কে নামাজ আদায় করতে হয় স্থানীয়দের।
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, ‘মসজিদটি ঠিক কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়। বাপ-দাদার আমল থেকে দেখছি। অন্যরকম মসজিদ এটি। তবে কিছু অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় ভয়ে ভয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। এটি সংস্কারের দাবি জানাই। সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তখন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি হারিয়ে যাবে।’