মোঃ রাজু মিয়া, বিশেষ প্রতিনিধিঃ মেসার্স প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের এর স্টাফ কেবিনে ভিকটিম (২৫) নামের এক নারী কে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি লঞ্চের লসকর পদে কর্মরত মোঃ খায়রুল ইসলাম (৪০), খাইরুল সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরু গাজীর ছেলে জানা যায়।
গত ১৮’মার্চ বিকেলে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী মেসার্স প্রিন্স আওলাদ ৭ নামের লঞ্চে গভীর রাতে একটি স্টাফ কেবিনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার ১৯’মার্চ সকালে পটুয়াখালী নদী বন্দর ঘাটে লঞ্চটি ভিড়লে ভিকটিম ঐ নারী ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযুক্ত ব্যক্তি লঞ্চ থেকে নেমে পালিয়ে যায় বলে জানান লঞ্চ সুপার ভাইজার মিলন হোসেন। এছাড়াও একাধিক স্টাফরা বললেন খাইরুলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারনে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমন কাজ করতে পারেন বলে ধারনা অনেকে করেন
তবে এবিষয়ে ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন আমি বিচারের জন্য পুলিশকে জানাই তারা ঘটনাস্থলে আসেন সবকিছু শোনেন পরে মামলা করবো কিনা জিজ্ঞেস করেন। আমি সম্মান নষ্টের ভয়ে মামলা করিনি যা বিচার করার পুলিশ করবে।
অভিযুক্ত খাইরুল গাজী মুঠোফোন বলেন, একজন মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানাইছে আমি নাকি তার সম্মানহানি করেছি। কিন্তুু পরে ঘটনা মিথ্যা প্রমান হয়েছে। এখন আমি একটু দুরে আছি পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন তিনি ।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসআই মাহাবুব আলম খাঁন বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ নারীর অভিযোগ শোনেন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য স্টাফরা ঐ নারীর কাছে মাফ চান এবং ঐ নারী ফের ৯৯৯ নাম্বার কল করে তার কোন অভিযোগ নেই বলে জানান অভিযুক্ত নারী।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঐ নারীর সাথে কথা বলে জানা যায় বিষয়টি ভুল বোজাবুজি হয়েছে সেজন্য ক্ষমা প্রার্থী হয় এবং ঘটনার কোন সত্যতা না পাওয়ায় পুলিশ চলে আসেন বলে জানান পুলিশ ।